সোস্যাল মেডিয়া মার্কেটিংয়ের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক হলেও বর্তমানে অনেক ইকমার্স উদ্যোক্তা বলছেন তারা ফেসবুক মার্কেটিংয়ে আশানুরুপ সাড়া পাচ্ছেন না। কথাটা আসলে পুরাপুরি সত্য না হলেও আংশিক সত্য। আংশিক সত্য বলব এজন্য যে, আপনি যে মাধ্যমেই বিজ্ঞাপন দিননা কেন রেসপন্স নির্ভর করে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনি ক্রেতাকে কোন প্লাটফর্মে নিয়ে যাচ্ছেন, যেখান থেকে ক্রেতা তার কাক্ষিত পন্যটি সম্পর্কে ভালভাবে জেনে শুনে সবচেয়ে কম ঝামেলায় কিনতে পারবে। আর একটা জিনিস মনে রাখতে হবে বিজ্ঞাপন মানে পন্য কিক্রি নয় বরং ক্রেতাকে আপনার কোম্পানী ও পন্য সম্পর্কে অভিহিত করা। এর পর পন্য বিক্রি কেমন হবে বিষয়টি নির্ভর করবে আপনার পন্য বিক্রির গেটওয়ে, পন্যের মান, আপনার সার্ভিস, বিশ্বস্ততা, কমিটমেন্ট, কম্পিটেন্ট প্রাইজ প্রভৃতি নিয়ামকের উপর। নতুন উদ্যোক্তারা সাধারনত পন্যের বিজ্ঞাপন ও বিক্রির মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক ব্যবহার করেন। এটা আসলে ইকমার্স ব্যবসার অসম্পূর্ণ রুপ। কারন এখানে পন্যের কনটেন্ট রাইটিং, উপস্থাপনা ও পেমেন্ট সিস্টেম অনেক দুর্বল। তাই ব্যবসা শুরুর আগে এমন একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ইকমার্স প্লাটফর্ম দাড় করাতে হবে যার মধ্যে ইকমার্সের সকল সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান থাকে। যেমন পন্যের পর্যাপ্ত তথ্য, সঠিক উপস্থাপনা, ডেলিভারী সিস্টেম, পেমেন্ট গেটওয়ে ইত্যাদি। এর পরে আসে কাস্টমার সার্ভিস ও বিক্রয়োত্তর সেবা। কাস্টমারকে এমন সেবা নিশ্চিৎ করতে হবে যেন তারা মনে করে একটি পন্য শপ থেকে কেনার চেয়ে অনলাইনে কেনা সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও সহজ। এটা নিশ্চিৎ করতে পন্যের সঠিক গুনাগুন বজায় রাখা, সঠিক ডেলিভারী সিস্টেম, সর্বোচ্চ বিক্রয়োত্তর সেবার বিকল্প নেই। যেমন ধরুন ক্রেতা আপনাকে একটি পণ্য অডার করল, আপনি সঠিক সময়ে ডেলিভারী দিলেন কিন্তু পণ্য পাওয়ার পর ক্রেতার পছন্দ হলনা। কোন সমস্যা নেই কোন প্রকার ফোর্স করা ছাড়াই পণ্য রিটার্ন নেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনার সাময়িক কিছু লোকসান হলেও ক্রেতা আপনার উপর আস্থা রাখবে এবং সে আপনার স্থায়ী ক্রেতা হয়েও যেতে পারে। সবশেষে বলব ইকমার্স ব্যবসা চরম ধৈয্যের ব্যবসা। এখানে অল্প সময়ে বা মাঝে মাঝে সময় দিয়ে সফল হওয়ার মত কোন শর্টকার্ট রাস্তা নেই। পর্যাপ্ত সময় নিয়ে কঠোর পরিশ্রম আর সর্বক্ষনিক লেগে থাকার মানষিকতা নিয়ে ব্যবসায় নামুন। আপনার সফলতা নিশ্চিৎ।